মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মাধবপুরের কমলপুর এলাকায় টমেটো চাষে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মোহাম্মদ আবুল বাশার। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও নিজের কঠোর পরিশ্রমকে সম্বল করে ৫০ বিঘা জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন ব্যাপক টমেটো চাষ। যা স্থানীয় কৃষিতে এনে দিয়েছে এক নতুন সম্ভাবনার বাতাস।
এই বিশাল আকারের টমেটো চাষে শতাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে, বাড়ছে আয়—এতে উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয় অসংখ্য পরিবার।
এলাকাবাসীর পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি উৎপাদিত টমেটো দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে অল্প খরচে। ফলে ক্রেতারা সুলভ দামে টমেটো পেয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
নিজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আবুল বাশার বলেন,
“সরকারি সহযোগিতা পেলে কৃষিকে আমি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ ও সহায়তা পেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব।”
তিনি আরও জানান, টমেটো চাষে সফলতা দেখিয়ে তিনি যুব সমাজকে কৃষিতে উৎসাহিত করতে চান, যেন সবাই নিজেদের শক্তিতে আত্মসম্বলিত হয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারে।
টমেটো চাষে আবুল বাশারের এমন সাফল্যে স্থানীয়দের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও গর্বের অনুভূতি। তারা জানান, আগে এলাকায় এমন বড় আকারে সবজি চাষ ছিল না। এখন কমলপুর গ্রাম যেন নতুন পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে—‘টমেটো গ্রাম’ নামে।
এলাকার প্রবীণরা বলেন,
“একজন মানুষের উদ্যোগ পুরো গ্রামকে বদলে দিতে পারে—এটার বাস্তব উদাহরণ আবুল বাশার।”
স্থানীয় যুবকরা জানিয়েছেন, তার সাফল্য দেখে তারাও কৃষিতে নতুনভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
তাদের ভাষায়—
“আগে ভাবতাম কৃষি দিয়ে বড় কিছু করা যায় না। এখন দেখছি ইচ্ছা থাকলে কৃষিই হতে পারে সবচেয়ে ভালো সম্ভাবনার জায়গা।”
বাজারের ব্যবসায়ীরাও জানান, তার চাষ করা টমেটো মানসম্পন্ন, তাজা এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এতে স্থানীয় বাজার যেমন স্বস্তি পেয়েছে, তেমনি এলাকার মানুষের মধ্যেও কৃষিকে কেন্দ্র করে নতুন ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃআবু তালেব, সহ-সম্পাদক : মিঠু মুরাদ,নির্বাহী সম্পাদক:মোঃসিরাজুল ইসলাম,সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক ভাই ভাই প্রিন্টিং ও প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত,অফিসঃবাড়ী ১৬৫(২য় তলা),রোড:০৮ মিরপুর -১১ ঢাকা।ই মেইল :newsdigantasangbad@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত