
রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রংপুর মহানগর শাখা।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও গ্রান্ড হোটেল মোড় প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিল চলাকালে “ নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে দিতে হবে” “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে করতে হবে” সহ ৫ দফা দাবি সম্বলিত নানা শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। এতে অংশ নেন রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান, সেক্রেটারি কে এম আনোয়ারুল হক কাজল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, আল আমিন হাসান, কোতোয়ালি থানা আমির মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, পরশুরাম থানা আমির অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম, তাজহাট থানা আমির মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাহিগঞ্জ থানা আমির শাহ মোহাম্মদ মহসিন, কোতোয়ালি থানা সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম, যুব বিভাগের সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন মন্ডলসহ আরও অনেকে।
শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর সেক্রেটারি কে এম আনোয়ারুল হক কাজলের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ও সভাপতির বক্তব্য রাখেন মহানগর আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান। এছাড়াও বক্তব্য দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী।
এটিএম আজম খান তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ আজ জাতির মুক্তি ও ন্যায়বিচারের একমাত্র পথনির্দেশনা। এই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া দেশে স্থায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। আমরা দাবি জানাই, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় আদেশ জারি করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণের মতামত যাচাই করতে গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে এবং করে যাবে। জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রংপুর মহানগরের প্রতিটি থানা, প্রতিটি ওয়ার্ডে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।