
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা এবং বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপুকে অব্যাহত হুমকী দিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের একটি চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও প্রতারক চক্র। যার ফলশ্রুতিতে জান মালের নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নারায়ণগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পরিচয়দানকারী চাঁদাবাজ ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ (৫৩), কামাল প্রধান (৪৪), আলমগীর প্রধান (৪২), অন্তরা ইসলাম নিপা (৩৬), রূপালী আক্তার (৩০), জলি বেগম (৩৫), হাফিজ প্রধান (২১) সহ আরো ৪/৫ জন ব্যক্তি খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপুর কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে চাঁদা আদায়ের জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও জীবননাশের হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। উক্ত ১নং ও ২নং বিবাদী রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতা ও হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানায়সহ নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিভিন্ন অপরাধের অনেকগুলো মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি আসামীগণ খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার চেষ্টা করে এবং বলে তুই অনেক টাকা পয়সার মালিক হয়ে গেছিস এখন থেকে আমাদের প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হবে। তা না হলে তর অফিসসহ সকল ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দিব। আর যদি কোন কারণে এই বিষয়ে পূর্বের মতো থানা পুলিশ করিস তাহলে আমাদের পরিবারের মহিলাদের দিয়ে তর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা মোকদ্দমা দিয়ে তোকে জেলের ভাত খাওয়াবো তখন তুই আর জেল থেকে বের হতে পারবি না। বিবাদীরা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এছাড়াও কামাল প্রধানের পরিচালিত কয়েকটি ভুয়া ফেসবুক আইডি এবং অবৈধ ভাবে প্রচারিত সুলতান মাহমুদের সম্পাদনায় অবৈধ পত্রিকায় ছবি দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। উভয় বিবাদী সুলতান মাহমুদ ও কামাল প্রধানসহ অন্যান্য বিবাদীদের ফেসবুক আইডিসহ ফেক আইডি থেকে অপপ্রচারের কারণে খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু সামাজিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক। বর্তমানে অপরাধীদের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
উক্ত বিবাদীরা টাউট, বাটপার, প্রতারকচক্রের সদস্য এবং মামলাবাজ। বিবাদীরা বিভিন্ন সময় কখনও সাংবাদিক, কখনও ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনও বড় অফিসের বস পরিচয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
এই বিষয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী।