
কামরুল ইসলাম,টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং বাজারে টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি গণপরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এনজিও ফোরামের বাস্তবায়নে এবং ইউএনডিপির অর্থায়নে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, বাজার কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ প্রায় ১২০ জন অংশগ্রহণ করেন। অভিযানের আওতায় বাজারের বিভিন্ন অংশ পরিষ্কার করা হয়, জমে থাকা বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় এবং বর্জ্য শ্রেণিভিত্তিক পৃথকীকরণ করা হয়।
একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য কমানো, পুনঃব্যবহার এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও ফোরামের প্রকল্প সমন্বয়কারী এ. বি. এম. মাইনুল হাসান।
প্রধান অতিথি বলেন, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে বাজার এলাকায় পরিবেশ দূষণ, জলাবদ্ধতা ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন বাজার গড়ে তোলা সম্ভব, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হোয়াইক্যং বাজার কমিটির সভাপতি জুনায়েদ আলী চৌধুরী। তিনি বাজার ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং ব্যবসায়ীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া ডা. মিজান মোরশেদ বলেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে ডায়রিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্থ সমাজ গঠনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান ওসমান এবং সারওয়ার মোহাম্মদ গফুর।
তারা বলেন, পরিচ্ছন্ন বাজার শুধু ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করে না, বরং ক্রেতাদের আস্থা বাড়ায় এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করে।
কর্মসূচিতে এনজিও ফোরামের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সজিব রায়হান, সেলিনা আক্তার ও মোহাম্মদ ফারুক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ ফারুক।
আয়োজকরা জানান, নিয়মিত গণপরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে হোয়াইক্যং বাজারকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত বাজার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখবে।