
রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নে চোখের নিমিশে মানুষের আশ্রয়স্থান কেড়ে নিলো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। আজ সকাল ৮টার দিকে বয়ে যাওয়া আকস্মিক (ঘূর্ণিঝড়) ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিতে প্রায় ১২ শত কাঁচা -পাকা ঘরবাড়িসহ দোকানপাট দুমড়ে মুচড়ে যায়।
সেই সাথে বিভিন্ন প্রকার গাছ ভেঙে পড়ে ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং কৃষিজমির ফসল ব্যাপক ক্ষয় -ক্ষতি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,সকাল ৮টার পর হঠাৎ প্রবল দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। মাত্র ২ মিনিটের ওই ঝড়ে আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুতুবপাড়া, খামার মোহনা ও চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামসহ নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া সরাদারপাড়া(এতিমখানায়) গাছ-পালা উপড়ে পড়ে এবং বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, আমন ধান ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবার ঘর- বাড়ি হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে মানবতার জীবন কাটাচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত কয়েক শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ির আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জরুরি ত্রাণ দুইশত শুকনো খাবারের প্যাকেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের টিম মাঠে নেমেছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে দুইশত প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।