
মোঃমামুন হোসেন,আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ায় থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠা নানা দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ভাবে মিথ্যা চুরির মামলা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহলসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে খোদ নিজে মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান।
এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়া থানায় নাছরীন আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামি দুই সাংবাদিকরা হলেন- অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ বুলেটিনের নিজস্ব প্রতিবেদক ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসলাম হাওলাদার (সাকিব আসলাম) এবং সকালের সময় পত্রিকার আশুলিয়া প্রতিনিধি সুফি সুমন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার ১নং আসামি সাংবাদিক সফি সুমন মামলার বাদী অ্যাডভোকেট নাছরিন আক্তারকে ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিছু ছবি ও ভিডিও দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করতে শুরু করে এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বাদী পলাশবাড়ি এলাকায় চেম্বারে বসে কাজ করার মামলার দুই আসামী তার অফিসে প্রবেশ করে দামকি দেয়। এ সময় ১নং আসামী বাদীকে বলে “তোকে আমি ভালোবাসি, তুই আমার সাথে চল, না গেলে তোকে দৌলতদিয়া পাঠায় দিবো” বলে হুমকি প্রদান করে এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে ২নং আসামী বাদীর হাতে থেকে ৩টি আংটি ও গলার ১ বরি ওজনের ছিড়ে নিয়ে যায় এবং ওড়না ধরে শ্লীলতাহানি করে।
পরে বাদী পুলিশে ফোন দিলে যাওয়ার আসামীরা যাওয়ার সময় বাদীকে বলে-“তোর এই অফিসে দুইবার কইরা চুরি-ভাংচুর আমরাই করাইছি, আমাদের লোকজনই করছে, তুই তো পারলি না কিছু করতে, পারবিও না, তোকে আমরা অত্র আশুলিয়াতেই থাকতে দিমু না, পারলে কিছু করিস”। এ ঘটনা উল্লেখ করে বাদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।
অন্যদিকে মামলা বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান করছিলেন সাকিব আসলাম ও সুফি সুমন। তার সতত্যা পাওয়ার পর বক্তব্য জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট নাছরীন আক্তার বাধী হয়ে পূর্বের দায়েরকৃত একটি অভিযোগ কোনো রকম প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মামলায় নথিভুক্ত করেন।